E-commerce hacks: ভাল ওয়েবসাইটের গুনাবলি
অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম ই-কমার্স ওয়েবসাইট। অনেক বিক্রেতাই সন্দিহান থাকেন নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে সাজাবেন, কি কি উপাদান রাখবেন যা ভিজিটরকে সহজেই আকৃষ্ট করবে বা ওয়েবসাইটের কোন উপাদানগুলি সম্ভাব্য ক্রেতার কেনাকাটার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
মোট কথা একটি ভাল ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্যগুলো কি? ভাল কনভার্সনের জন্য ওয়েবসাইটে কোন উপাদানগুলো না থাকলেই নয় আসুন জেনে নিই।
– যে কোন ব্যবসার/ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম এবং লোগো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশি লম্বা বা জটিল ডোমেইন নাম হলে ওয়েবসাইটে ট্রাফিকই কম হবে। আর ব্যবসার লোগো যে কাউকে ভাল বা খারাপ ইম্প্রেশন দিতে পারে।
– ওয়েবসাইটের জন্য ভাল দ্রুত নিরাপদ হোস্টিং চাই। মুহুর্তের মধ্যে পুরা সাইট লোড হওয়া চাই। আপনার সাইট যদি ৩ সেকেন্ডের মধ্যে লোড না হয় তাহলে ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশনের ব্যাপারে দৃষ্টি দিন।
– অবশ্যই ওয়েবসাইট মোবাইল রেসপন্সিভ হতে হবে কারণ দেশে অধিকাংশ ভিজিটর মোবাইল থেকেই সাইট ব্রাউজ করেন।
– হোম পেজটা অবশ্যই আকর্ষনীয় হওয়া চাই, ছিমছাম ডিজাইন হতে হবে, ঠাসাঠাসি টাইপ ডিজাইন পরিহার করতে হবে। হোম পেজের ডিজাইন ভিজিটরের মধ্যে পুরো ওয়েবসাইট/ ব্যবসা/ উদ্যোক্তার উপরে একটি ইম্প্রেসন তৈরী করে। ওয়েবসাইটের হোম পেইজে ভিজিটর সন্তুষ্ট না হলে সাধারণত অন্যান্য পেইজ আর ভিজিট করে না।
– ভাল সার্চ সিস্টেম, গোছানো এবং সহজবোধ্য নেভিগেশন সিস্টেম যেন ভিজিটর আরামে ক্যাটাগরি এবং প্রোডাক্ট ব্রাউজ করতে পারেন। নিউ আইটেম/ সেল আইটেম/ হট অফার এগুলো হোম পেইজে হাইলাইটেড রাখার অপশন থাকলে খুব ভাল হয়।
– সুন্দর পরিচ্ছন্ন বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তোলা ভাল রেজোলিউশনের অপটিমাইজড প্রোডাক্টের ছবি এবং প্রোডাক্টের বিস্তারিত। এক্ষেত্রে সহজবোধ্য আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লেখা খুবই জরুরী। এছাড়া ব্র্যান্ড, দাম, ভ্যারিয়েশন ভেদে ফিল্টারিং সিস্টেম থাকলে খুবই ভাল। প্রোডাক্টের ভিডিও রিভিউ থাকলে তাও খুব কার্যকরী হয়ে থাকে।
– ব্যবসার পরিচিতি, ব্যবসার টার্মস/ পলিসি/ রিটার্ণ/ রিফান্ড/ FAQ, ডেলিভারি সংক্রান্ত চার্জ এবং বিস্তারিত তথ্যের সুসস্পষ্ট উল্লেখ সাইটে অবশ্যই থাকতে হবে।
– ব্যবসার ঠিকানা, হটলাইন, ইমেইল, বিভিন্ন সোসাল মিডিয়া লিঙ্ক ইত্যাদিও থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
– সাইটে লাইভ চ্যাটের ব্যবস্থা থাকলে খুবই উপকারী ভিজিটরের জন্য। কারণ সেক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন থাকলে তিনি সাইট ব্রাউজ করতে করতেই সমাধান পেতে পারেন।
– সহজ কাস্টমার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম, ওটিপির মাধ্যমে কাস্টমার ভেরিফিকেশন সিস্টেম, কাস্টমার কর্তৃক প্রোডাক্ট রেটিং/ রিভিউয়ের ব্যবস্থা, কাস্টমারের শপিং হিস্ট্রি ইত্যাদি অপশন থাকলে সাইটের মান বেড়ে যায়।
– সহজবোধ্য এবং দ্রুত চেক আউট সিস্টেম থাকা চাই। কাস্টমারের ঠিকানা, ডেলিভারি সিস্টেম সিলেকশন এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় যেন কোন জটিলতা না থাকে।
আরো রিয়েল লাইফ ই-কমার্স হ্যাকস জানুন
আরও কিছু অ্যাডভান্স বিষয়াদি থাকলে খুবই ভাল হয়। যেমন
– সাইটের এসইও করা থাকা যেন কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলেই পণ্য বা ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যায়।
– ওয়েবসাইটে পেমেন্ট গেইটওয়ের ইন্টেগ্রেশন থাকা যেন কাস্টমার অনলাইন পেমেন্ট যেমন বিকাশ, রকেট বা বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারেন। এর বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ইএমআই সিস্টেম থাকলে তো কথাই নেই।
– সাইটে এসএসএল সার্টিফিকেট থাকা যা ক্রেতাকে তথ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। যদিও পেমেন্টের বিষয়াদি গেইটওয়ে প্রোভাইডারের সাইটে হয় যেখানে এসএসএল সার্টিফিকেট থাকে।
– সুবিধাজনক নোটিফিকেশন সিস্টেম যেন কাস্টমার রেজিস্ট্রেশন করলে বা অর্ডার প্লেস করলে ইমেইল/ এসএমএস পান।
– অর্ডার ট্র্যাকিং সিস্টেম যেন কাস্টমার অর্ডার আইডি প্রদানের মাধ্যমে ডেলিভারির তৎক্ষণাৎ অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
এবার আপনার ওয়েবসাইটের সাথে এই উপাদানগুলো মিলিয়ে নিন। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর এই সব উপাদান একসাথে ম্যানেজ করা জটিল, সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। আর ওয়েবসাইট শুধু বানালেই হবে না, নিয়মিত কন্টেন্ট জেনারেশন, মেইন্টেনেন্স এবং মার্কেটিং করতে হবে। তাই কিভাবে ওয়েবসাইটের মান আরো ভাল করে সেল কনভার্সন বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে কাজ করুন।
ভাল মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট চাই?