আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে অনলাইনে যে কোন ব্যবসা বা পণ্যের প্রমোশনের জন্য ফেসবুক খুবই কার্যকরী একটি মাধ্যম। যে কোন ব্যবসার ফেসবুক পেইজ মূলত একটি প্রমোশনাল  টুল হলেও আমাদের দেশের স্বল্প পূঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রয়ের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনাবেচা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং জনপ্রিয় হচ্ছে, বিক্রেতারা নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করছেন, সচেতন ক্রেতা সাধারণও ওয়েবসাইট নির্ভর ব্যবসাগুলোকে নির্ভরযোগ্য মনে করছেন। তবে অনেক উদ্যোক্তাই ব্যবসা বৃদ্ধির উদ্যেশ্যে ওয়েবসাইট বানান ঠিকই কিন্তু তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে না পারার কারণে হতাশ হয়ে পরেন। আবার এমনও হতে পারে যে আপনার ব্যবসার ধরণ, পরিধি বা পরিচালনার কৌশল অনুযায়ী আসলে এই মুহুর্তে ওয়েবসাইটের প্রয়োজন নেই।

স্টোরিয়া প্লাটফর্ম থেকে গত তিন বছরে তিনশর অধিক ব্যবসার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং অনলাইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সলিউশন দেয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা আপনার জন্য খুঁজে বের করেছি কিছু প্রশ্নমালা, সচেতনভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই আপনাকে বলে দেবে আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজন আছে নাকি নেই!

ভাল মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কি কি উপাদান থাকে?

আপনি নিজের ব্যবসার ব্র্যান্ড নিয়ে কতটুকু সচেতন?

যে কোন ব্যবসার প্রথম পরিচয় তার নাম। একইভাবে অনলাইন জগতে আপনার ব্যবসার প্রথম পরিচয় আপনার ডোমেইন নেইম। যেই ডোমেইন এড্রেসে গেলে বা গুগলে সার্চ করলে খুঁজে পাওয়া যাবে আপনার ওয়েবসাইট তথা আপনার ব্যবসা। নিজের নামে নিজের ঠিকানায় ব্যবসা করাই আপনার সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ডিং যা আপনার ফেসবুক পেইজে বা মার্কেটপ্লেসের সাবডোমেইন বা অমুক নাম্বার স্টোর হিসেবে আপনি কখনোই পাবেন না। অনেকেই ফেসবুকে নিজের পণ্য অন্যের লিঙ্ক বা ব্র্যান্ডে মার্কেটিং করে থাকেন যা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়! নিজের ব্যবসার ব্র্যান্ড নিয়ে যদি এতটুকু সচেতন হয়ে থাকেন তবে আপনার প্রয়োজন নিজের ডোমেইনে একটি ওয়েবসাইট।

আপনার ব্যবসার ভলিউম কেমন?

ওয়েবসাইট বা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টুল লাগবে কিনা তার একটি বড় নির্ণায়ক হতে পারে আপনার বিজনেস ভলিউম। বিজনেস ভলিউম বলতে বুঝায় আপনার পণ্যের ক্যাটেগরির সংখ্যা, পণ্যের সংখ্যা, ইনভেন্টরির হিসাব কিতাব, কাস্টমার বেইজ, অর্ডারের পরিমান, ট্রান্সেকশনের পরিমান ইত্যাদি। আপনার যদি নতুন ব্যবসা হয় তাহলে বিজনেস ভলিউম কম থাকবে এটিই স্বাভাবিক এবং এগুলো আপনি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমেই সম্পাদন করতে পারবেন। তবে যদি ভলিউম বেশি হয়ে থাকে তবে সুষ্টুভাবে সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট এবং ম্যানেজমেন্ট টুলের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ফেসবুকে রকমারি ক্যাটাগরির পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই, অনেক আগের পণ্য খুঁজে পাওয়াও মুশকিল, ফেসবুক পেইজে সবসময় নিউজফিডের শুরুর দুইএকটি পোস্ট বা পণ্য হাইলাইটেড থাকে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি করে পণ্য তুলে ধরা যায়, পণ্য সার্চের সুবিধা থাকে। বিভিন্ন পণ্য, কালেকশন এবং প্রমোশন অফার ক্রেতার কাছে হাইলাইট করার প্রচুর অপশন থাকে যা ক্রেতার জন্য পণ্য ব্রাউজিংয়ে খুবই সহায়ক। একইভাবে অধিক অর্ডার প্রসেসিং এবং কাস্টমার ম্যানেজমেন্টের জন্য ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ডে বিভিন্ন কার্যকরী ফিচার রয়েছে।

রিয়েল লাইফ ই-কমার্স হ্যাকস জানুন

আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা? আপনার পণ্য কি?

আপনার পণ্যের কাস্টমারগ্রুপ কারা সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। কাস্টমারদের জিওগ্রাফিক (এলাকা) এবং ডেমোগ্রাফিক (বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষা ইত্যাদি) সেগমেন্টেশন অনুযায়ী আপনার নিয়মিত বা সম্ভাব্য ক্রেতারা যদি বেশিরভাগ শহরকেন্দ্রিক তরুণ শিক্ষিত সমাজ হয় তাহলে ওয়েবসাইট বানানোর কথা চিন্তা করতে পারেন। আর যদি অধিকাংশ ক্রেতা জেলাশহরের বাইরে বা গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে তবে আপাতত তাদের জন্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যতেষ্ঠ চ্যালেঞ্জিং হবে, কারণ এই অংশের মধ্যে এখনো ইন্টারনেটের সহজলোভ্যতা এবং পর্যাপ্ত অনলাইন শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে। মূল ব্যাপার হলো আপনার কাঙ্খিত ক্রেতারা ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার প্লেস করার ব্যাপারটি কতটুকু বুঝেন, ক্রেতারা নিজেদের প্রোফাইলের ব্যাপারে কতটুকু সচেতন। এর বাইরে বিবেচনার বিষয় আছে আপনার পণ্য। আপনার পণ্য যদি এক্সক্লুসিভ কিছু হয় বা অন্যান্য অনলাইন শপে দুস্প্রাপ্য হয় তাহলে  ওয়েবসাইট ব্যবহার করাই শ্রেয়, এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি আপনার ব্র্যান্ডিংয়ে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। এছাড়া তুলনামূলক দামি পণ্য ক্রেতা সাধারণ ব্র্যান্ড, রিভিউ, সার্ভিস পলিসি ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশ যাচাইবাছাই করে কেনার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে নিজের সাজানো গোছানো একটি ওয়েবসাইট আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে ভাল ব্র্যান্ডিং এবং নির্ভরতার একটি ইম্প্রেশন তৈরি করতে পারে।

আপনার ক্রেতা কি অনলাইন পেমেন্ট করতে আগ্রহী?

আপনার যদি ইতিমধ্যে ভাল কাস্টমার বেইজ থাকে তারা হয়তো আপনাকে পণ্য ক্রয়ের সময় অনলাইনে পেমেন্ট যেমন কার্ড, মার্চেন্ট বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে আগ্রহী হতে পারে। বড় অ্যামাউন্টের কেনাকাটায় অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চায়, ইএমআই সুবিধা চায়। টাকা পয়সার লেনদেন একটি স্পর্শকাতর বিষয়, এজন্য চাই সঠিক ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ট্র্যান্সেকশন রিপোর্ট। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা পারসোনাল বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন, তবে তার কোন প্রোপার ট্রান্সেকশন ডকুমেন্ট আপনার বা ক্রেতার কাছে থাকেনা, এটি নির্ভরযোগ্য সমাধান নয়। এসব বিবেচনায় কাস্টমারকে অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা দিতে গেলে এবং যথাযথ ট্রান্সেকশন ডকুমেন্টেড রাখতে হলে আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই। ফেসবুকের মাধ্যমে এখনো অনলাইন পেমেন্ট করা বা নেয়া সম্ভব না, আবার মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে করতে গেলেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে অন্যের কাছে। পেমেন্ট গেইটওয়ে সহ নিজের ওয়েবসাইট থাকলে আপনি চাইলে দেশের বাইরে থেকেও অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সবার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কাস্টমারগণ আদৌ অনলাইন বা অ্যাডভান্স পেমেন্ট করবেন কিনা বা কি পরিমান অনলাইন ট্রান্সেকশন হতে পারে। সেই অনুযায়ী আপনি ওয়েবসাইট বানানো বা পেমেন্ট গেইটওয়ের সংযুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আপনি ব্যবসা কতটুকু অটোমেট করতে চান?

ফেসবুক পেইজে ব্যবসা করা মানেই একটি সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল প্রসেস। পণ্যের ইনভেন্টরি থেকে শুরু করে কেনাবেচার হিসাব, ইনভয়েসিং, পেমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, কাস্টমার ডেটাবেইজ, অর্ডার প্রসেস, নোটিফিকেশন সিস্টেম, সিআরএম, মার্কেটিং ইত্যাদি সবই কষ্ট করে সময় নিয়ে হাতে কলমে বা তৃতীয় কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ডে বা ম্যানেজমেন্ট টুলের মাধ্যমে এই ধরণের প্রসেসগুলো অটোমেটেড উপায়ে ম্যানেজ করা যায় খুব সহজেই, সবকিছু প্রোপারলি সমন্বয় করা যায়। ব্যবসার সার্বিক অবস্থার বিভিন্ন অটোমেটেড রিপোর্টিং এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে কষ্ট কম হয়, সময় বাঁচে। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ার সাথেই ব্যবসার ভলিউমের সম্পর্ক আছে। ব্যবসার ভলিউম বেশি হলে ম্যানুয়ালি এগুলো পরিচালনা করা দুঃষ্কর, সময়সাপেক্ষ এবং ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট থাকলে কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়।

গ্রুপ থেকে অনলাইন ব্যবসা শিখুন

আপনি কি ওয়েবসাইট মার্কেটিংয়ের কৌশলগুলো জানেন?

ওয়েবসাইট চাইলে ওয়েবসাইটের মার্কেটিং (ফেসবুকের পণ্যের অ্যালবাম মার্কেটিং নয়) এবং কনভার্সন সম্পর্কে যতেষ্ট জ্ঞাণ থাকা চাই। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা ওয়েবসাইট থাকার পরও এই কলাকৌশল না জানার কারণে ওয়েবসাইট থেকে কাঙ্খিত সাফল্য বা সেল পান না। আপনি যদি ‘ওয়েবসাইট থেকে সেল হয় না’ এই ধ্যানধারণায় থাকেন তাহলে হয় আপনাকে ফেসবুক কেন্দ্রিক ব্যবসাতেই থাকতে হবে অথবা ওয়েবসাইট থেকে সেল করার কৌশল শিখে যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। কিভাবে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে হয় এবং সাইটে ভিজিটর এঙ্গেজ করতে হয় এগুলো জানতে হবে। এর বাইরেও ওয়েবসাইটের ভিজিটর ট্রাকিং, রিমার্কেটিং, লিড কালেকশন, এসইও, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট, ব্লগিং ইত্যাদি সম্পর্কে অবশ্যই জানা থাকতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ ফেসবুক কেন্দ্রিক মার্কেটিং করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে ওয়েবসাইটে কনভার্শনের মার্কেটিং কলাকৌশল এবং এ্যাড টাইপ সম্পর্কে চর্চা থাকা চাই। ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি এবং পারফর্মেন্স বিচার করার নূন্যতম জ্ঞান থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর এবং সেখান থেকে সেল জেনারেট করার জন্য নিয়মিত প্রোডাক্ট, কন্টেন্ট, রিভিউ এবং প্রমোশনের আপডেট করা খুবই জরুরী। অনলাইন ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে ওয়েবসাইট এবং ম্যানেজমেন্ট টুলের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য আপনাকে নিয়মিত সময় দিতে হবে, অনেক সময় এক্ষেত্রে বাড়তি লোকবলেরও প্রয়োজন হয়। আমাদের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবতা বলে আপনি যদি এই ব্যাপারগুলোয় উদাসীন হোন তাহলে ওয়েবসাইট থেকে কখনোই কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন না।

ওয়েবসাইটের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট কি আপনার আছে?

শেষ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার বাজেট বা বিনিয়োগের পরিমান। প্রথমেই স্পষ্ট করে বলে নিই পর্যাপ্ত বাজেট ছাড়া ওয়েবসাইট বানানো বোকামি হবে। ওয়েবসাইটের মার্কেটিং সংক্রান্ত উপরে যেগুলো বলা হলো তার সবকিছুর সাথেই কমবেশি আর্থিক বিনিয়োগ জড়িত। এর বাইরে ওয়েবসাইট বানানোতেই প্রাথমিক একটি বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়েবসাইট থিম, ডেভেলপমেন্ট, পেমেন্ট গেইটওয়ে ইন্টেগ্রেশন প্রত্যেক অংশের জন্যই আলাদা করে খরচ আছে। ওয়েবসাইট বানাতে কোন ধরণের ই-কমার্স সলিউশন ব্যবহার করবেন সেটি নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন সিএমএস ব্যবহার করে মানসম্মত একটি ওয়েবসাইট বানাতেই আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে যেতে পারে, খরচের অনেকখানি নির্ভর করে আবার ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ড ফিচার এবং ফ্লেক্সিবিলিটির উপর। তার উপর ডোমেইন, হোস্টিং এবং মেইন্টেনেন্সের পেছনে বাৎসরিক খরচ আছে। ওয়েবসাইটের কোন কাস্টমাইজেশন বা ফিচার সংযোজনের জন্য আলাদা খরচ করতে হবে। দশ বিশ হাজার টাকাতেও সাইট বানাতে পারবেন তবে দুইদিন পর পর এই ঝামেলা সেই ঝামেলা, এই খরচ ঐ খরচে জীবন দুর্বিষহ হয়ে পরবে নিশ্চিত থাকুন। ওয়েবসাইট বানাতে এককালীন বিনিয়োগ সম্ভব না হলে বা মেইন্টেনেন্সের ঝামেলা এড়াতে স্টোরিয়ার মত প্ল্যাটফর্ম উদ্যোক্তাদের জন্য উপযোগী হতে পারে। কারণ স্টোরিয়া ম্যানেজড সার্ভিস প্রদান করে, এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইট এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টুল উভয়ের সমাধানই হয়ে যায়, মেইন্টেনেন্সের ঝক্কিঝামেলা নেই, সহজ সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম যা ব্যবসার ঝুঁকি কমায় অনেকগুন।

যেভাবেই ওয়েবসাইট বানান বা পরিচালনা করেন তার পাশাপাশি আপনাকে খরচ করতে হবে সাইটের এসইও করতে, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট, ব্লগিং ইত্যাদিতে। সাথে নিয়মিত পেইড অনলাইন মার্কেটিংয়ের খরচ তো আছেই। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং এবং নিয়মিত সেল পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ্য, ধৈর্য রাখতে হবে এবং নিয়মিত বিনিয়োগ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়েই খরচ কমানো যায় যদি আপনি সময় দিয়ে কৌশলগুলো নিজেই রপ্ত করে নেন এবং বাজেট অনুযায়ী পরিকল্পনা সহ টার্গেট সেট করে আস্তে আস্তে প্রয়োগ করতে থাকেন।

শুনুন সফল উদ্যোক্তার গল্প

আশা করি উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনি আপনার ব্যবসার মূল্যায়ণ করবেন, তাহলেই বুঝে যাবেন আপনার করণীয়। নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ, এই বিনিয়োগ আপনার ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করতে পারে, ব্র্যান্ড হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে, ব্যবসাকে নিয়ে যেতে পারে পরবর্তী ধাপে। আবার না জেনে না বুঝে বিশেষ করে অনলাইন ব্যবসার মার্কেটিং কলাকৌশল সম্পর্কে যথাযথ ধারণা ছাড়া ওয়েবসাইট বানালে এই বিনিয়োগ অপচয় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। স্টোরিয়ার পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভকামনা।

ভাল মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট চাই?

 

(Visited 2,112 times, 1 visits today)
1

Comments