ই-কমার্স (ইলেক্ট্রনিক কমার্স) যে কোন রিটেইল ব্যবসারই অনলাইন বা ডিজিটাল সংস্করণ। এক্ষেত্রে পণ্য প্রদর্শন, বিপণন, বিক্রির প্রক্রিয়াটি অনলাইনে বা ডিজিটালি সম্পাদিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই ই-কমার্সে আগ্রহী হলে নূন্যতম অনলাইন/ডিজিটাল/ইন্টারনেট জ্ঞাণ না থাকলেই নয়।

আমরা অনলাইন ব্যবসা বা যে কোন ব্যবসারই পুরো প্রক্রিয়াটিকে ছয়টি ভাগে ভাগ করে চেষ্টা করেছি প্রচলিত অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কিত ইংরেজী শব্দ/টার্ম গুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ ডিরেক্টরি তৈরি করতে যেন অনলাইন ব্যবসায়ীদের, বিশেষ করে নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক একটি প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়।

 

Business Planning

About us: উদ্যোক্তা এবং উদ্যোগের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় যা ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজে সচরাচর দেয়া থাকে। About us এ উদ্যোক্তার পরিচয়ের সাথে কোম্পানির মূলনীতি, মিশন এবং ভিশন যুক্ত করা যায়।

Angel investment: ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্যেশ্যে তৃতীয় কারো থেকে আর্থিক বিনিয়োগ নেয়ার প্রক্রিয়া। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর উদ্যোক্তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা যে কোন প্রফেশনাল বিনিয়োগকারীও হতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যবসার মালিকানার কিছু অংশের বিনিময়ে বিনিয়োগকারী আর্থিক বিনিয়োগ করে থাকেন এবং কম্পানির স্ট্রাটেজিক পার্টনার হয়ে থাকেন।

B2B: এক ব্যবসায়ীর সাথে আরেক ব্যবসায়ীর যে লেনদেন ও সম্পর্ক। বিক্রেতা এবং ওয়েবসাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক, বিক্রেতা এবং তার সাপ্লাইয়ারের সম্পর্ক ইত্যাদি B2B সম্পর্ক। যেমন বিক্রেতার সাথে সাপ্লাইয়ারের সম্পর্ক।

B2C: ব্যবসায়ী বা বিক্রেতার সাথে কাস্টমার বা ভোক্তার সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও যোগাযোগ। যেমন বিক্রেতার সাথে ক্রেতার সম্পর্ক।

Business Plan speech bubble illustration on white background.

Banner: ওয়েবসাইটের স্লাইডার, ব্যানার বা ফেসবুকের কাভার ফটো।  ব্যানারে আপনি আপনার পণ্য, পণ্যের কালেকশন হাইলাইট করতে পারবেন, কোন প্রমোশন ক্যাম্পেইন থাকলে সেটিও ব্যানারে তুলে ধরতে পারেন।

Bootstrapping: বাহ্যিক বিনিয়োগ ব্যতিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাকার ব্যবস্থা করে সীমিত পরিসরে ব্যবসা শুরু করা বা চালিয়ে যাওয়া।

Breakeven: নির্দিষ্ট এক পরিমান। ব্যবসার সেই ব্যালেন্সিং অবস্থান, যেখানে লাভ নেই আবার ক্ষতিও নেই। অর্থাৎ ব্যবসার আয় যা তা দিয়েই ব্যবসার খরচ নির্বাহ করার অবস্থা।

Budget: অর্থবিন্যাস। আপনি ব্যবসার কোন খাতে কত টাকা খরচ করবেন সেই রুপরেখা।

Business model:  ব্যবসার মডেল। যেখানে উদ্যোক্তার ব্যবসা নিয়ে তার উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠানের কাঠামো সহ অনেক কিছু সীমিত আকারে বলা থাকে।

Business name: উদ্যোগ বা ব্যবসার নাম। ক্ষেত্রবিশেষে কোম্পানির নাম।

Business plan: ব্যবসায়িক পরিকল্পনা। মার্কেট অ্যানালাইসিস, প্রোডাক্ট সোর্সিং, টেকনলজি, মার্কেটিং, অপারেশন্স এই সবকিছু মিলিয়ে ব্যবসা করার জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা।

C2B: ভোক্তার সাথে ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তার যোগাযোগ। ক্রেতা বা ভোক্তা যখন পন্য নিয়ে মূল্যায়ন জানায়, রিভিউ সরাসরি উদ্যোক্তাকে জানায়। যেমন একটি রিভিউ সাইট হতে পারে C2B সম্পর্ক।

C2C: কাষ্টমার টু কাষ্টমার। এমন একটি ব্যবস্থা যাতে কাষ্টমাররা একে অন্যের সাথে পণ্য ও সেবা নিয়ে মতামত জানাতে ও জানতে পারে। যেমন ক্লাসিফাইড ওয়েবসাইটগুলো।

Canvas model: ব্যবসার আয় এবং ব্যয়ের সার্বিক চিত্র। এছাড়াও ব্যবসার পার্টনার, কাস্টমার, কার্যক্রম, রিসোর্স, মার্কেটিং ইত্যাদিও বিজনেস ক্যানভাস মডেলে উল্লেখ থাকতে হয়।

Capital: মূলধণ। যা দিয়ে আপনি ব্যবসার আর্থিক পরিচালনা করবেন।

Cash flow: টাকা বা অর্থের তারল্য। ব্যবসায় পরিচালনায় কত টাকা আসছে, কত টাকা যাচ্ছে সব মিলিয়ে আর্থিক এক তথ্য বিবরনী।

Classifieds: বিজ্ঞাপন বিশেষ, পত্রিকায় ও অনলাইনে কম খরচে বিজ্ঞাপন প্রকাশের ব্যবস্থামূলক সাইট।

Commission: আপনার পণ্য অন্য কেউ বিক্রি করে দিবেন, বিনিময়ে তিনি বিক্রয় মূল্যের কিছু শতাংশ হারে কমিশন নিবেন এরকম। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস নির্দিষ্ট কমিশনের শর্তে আপনার পণ্য বিক্রি করে থাকে।

Copyright: কোন একটি বিশেষ ধারণার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্টিগত নাম হলো মেধাসত্ত্ব। বাংলাদেশে সাহিত্য ও বিভিন্ন প্রকাশনা ব্যবসায় এই কপিরাইট বেশী ব্যবহৃত হয়।

Cost control: ব্যয় সংকোচন। ব্যবসায় বিভিন্ন খরচকে যৌক্তিক ভাবে কমানোর প্রচেষ্টা।

CSR: Corporate Social Responsibility. কোম্পানীর সামাজিক দায়বদ্ধতা। বড় ছোট কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবায় যে ভূমিকা রাখে সেটাই কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি।

Drop-shipping: নিজস্ব দোকান বা গোডাউন না থাকলে যেভাবে চাহিবামাত্র পন্য সংগ্রহ করে ভোক্তা ও কাষ্টমারের পৌছে দেয়ার পদ্ধতি।

E-Commerce: ইলেক্ট্রনিক কমার্স। প্রচলিত কেনাবেচার ধরণটিই অনলাইন বা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করাই ই-কমার্স। ই-কমার্সের কিছু মূল উপকরণ হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য প্রদর্শন, অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা, ডিজিটাল মার্কেটিং, হোম ডেলিভারি ইত্যাদি।

কোন সল্যুশনটি আপনার জন্য উপযুক্ত?

Exporter: যিনি বাংলাদেশ থেকে পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন। সচরাচর আমাদের দেশে যে পণ্য বেশি উৎপাদিত হয় সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

F-Commerce: ফেসবুকের পেইজ এবং গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করাকে এফ-কমার্স বলা হয়।

Feasibility study: কোনও প্রজেক্ট বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কতটা বাস্তবিক ও সত্যিই কার্যকরী কিনা তা খুঁজে বের করার কৌশলপত্র।

Fixed cost: স্থায়ী ব্যয়। যা ব্যবসা চালাতে অবশ্যই প্রয়োজন হয়। এ ব্যয় নির্দিষ্ট, ব্যবসা পরিচালনায় সময় তা বাড়ে কিংবা কমে। যেমন অফিস ভাড়া যা নির্দিষ্ট এবং আপনাকে তা বহন করতেই হয়।

Importer: যিনি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানী করেন। সাধারণত আমাদের দেশে যে পণ্য পাওয়া যায় না সেগুলো আমদানী করা হয়।

Industry: ব্যবসা কোন একটি ইন্ডাস্ট্রি বা সেক্টরের অধীনে হয়, যেমন গার্মেন্টস বা পোষাক/ফ্যাশন আইটেম, সেরকম ইলেক্ট্রনিক্স হতে পারে, হস্তশিল্প হতে পারে, কৃষি বা গ্রোসারি হতে পারে ইত্যাদি।

Intellectual property: মেধাসত্ত্ব সম্পদ। আপনি যদি ইউনিক কোন কিছু আবিষ্কার করে থাকেন তবে তার মেধাসত্ত্ব রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে পারেন।

Investment: বিনিয়োগ। ব্যবসা পরিচালনা এবং সম্প্রসারণের নানা পর্যায়ে, বিভিন্ন সময়ে যে অর্থের দরকার হয় তাই মূলত বিনিয়োগ।

KPI: Key Performance Indicator. ব্যবসা কেমন চলছে বা ব্যবসার গতিপ্রকৃতি বোঝার নিয়ামক। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ধরণের নিয়ামক হতে পারে কাস্টমার সংখ্যা, অর্ডার সংখ্যা, বিক্রিত পণ্যের মূল্যমান ইত্যাদি।

Logo: ব্যবসার পরিচয়মূলক চিহ্ন যা দেখেই মানুষ আপনার ব্যবসাকে চিনবে। ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ভিজিটিং কার্ড, দোকানের ব্যানার সহ আপনার যাবতীয় ব্যবসায়িক কার্যকলাপে আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Marketplace: যেখানে বিক্রেতা নিজের পণ্য কমিশনের শর্তে বিক্রয় করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব পণ্য নেই, তারা বিক্রেতাদের পণ্য ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরে। যেমন আজকেরডিল, দারাজ, বাগডুম ইত্যাদি।

MFS: Mobile Financial Services. যেমন বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশ ইত্যাদি।

MoU: Memorandum of Understanding. দুটি কোম্পানির মধ্যকার চুক্তিনামা। চুক্তি অনুযায়ী উভয়পক্ষ কি কি সুবিধা পাবে এবং যৌথভাবে কি অফার করবে তা নির্ধারিত থাকে।

Niche market: একটি নির্দিষ্ট সেক্টরের মার্কেট। যেমন জুতার মার্কেট, যিনি জুতার ব্যবসা করবেন তিনি শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরণের জুতা নিয়েই কাজ করবেন, তিনি কাপড় বা জুয়েলারি নিয়ে কাজ করবেন না, তাকে বলা হবে যে তিনি জুতার নিস নিয়ে কাজ করছেন। উদাহরণস্বরুপ জুতার আরো সুনির্দিষ্ট নিস হতে পারে চপ্পল, স্যান্ডেল, সু, কেডস বা স্নিকার্স ইত্যাদি।

Opportunity cost: সুযোগ ব্যয়। ব্যবসার‍্য একটি কাজে বা খাতে ব্যয় করলে আরেকটি কাজে যে ব্যয় করা সম্ভব হয় না, সেই সুকৌশলী হিসাবকেই সুযোগ ব্যয় বলে।

Pay as you go/use: আপনি যতটুকু বা যতদিন ব্যবহার করবেন ঠিক ততটুকু বা ততদিনের জন্য মূল্য পরিশোধ করবেন। এই ধরণের সিস্টেম প্রিপেইড হয়ে থাকে সাধারণত। যেমন স্টোরিয়ার সাবস্ক্রিপণ মডেল।

Pitch: বিনিয়োগকারীর কাছে পেশ করা আপনার উদ্যোগের মৌখিক বা লিখিত সারাংশ এবং কার্যপ্রনালী যার উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারী আপনার ব্যবসায় বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারেন।

Privacy policy: ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার শর্ত। যেমন আপনি পণ্য ক্রয়ের সময় যে ব্যক্তিগত তথ্য দিলেন তা যেন বিক্রেতা অন্য কোথাও ব্যবহার না করেন সেই শর্ত পলিসিতে থাকতে পারে।

Profit: পণ্যের বিক্রয়মূল্য থেকে পণ্যের উৎপাদন খরচ বা ক্রয়মূল্য এবং অপারেটিং খরচ বাদ দিলে যা থাকে তাই প্রফিট বা লাভ।

Resell: পুনঃ বিক্রয়। কোনও পন্য কিনে তা পুনরায় আগ্রহী ক্রেতার নিকট বিক্রয়।

Retailer: খুচরো বিক্রেতা। যিনি সরাসরি কাষ্টমারের কাছে পন্য ও সেবা অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করেন।

Revenue: ব্যবসার পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করে অর্জিত মোট পরিমান। রেভিনিউ থেকে খরচ বাদ দিলে ইনকাম বা প্রফিট পাওয়া যায়।

ROI: Return of Investment. অর্থাৎ ব্যবসায় যে আর্থিক বিনিয়োগ তার ফেরতযোগ্যতার হার কতটা। বেশী ROI থাকলে বুঝতে ব্যবসাটা খুব লাভজনক। কম থাকলে বুঝতে হবে, ব্যবসার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হচ্ছে না।

Scalability: চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা সম্প্রসারণ করার ক্ষমতা। যেমন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ছে, প্রচুর অর্ডার পরছে, এখন আপনার ওয়েবসাইট কি এই বাড়তি লোড নিতে সক্ষম? চাইলে কি এর প্রসেসিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব? বা আপনার পণ্যের চাহিদা বেশি, আপনার পক্ষে কি নতুন একটি শোরুম দেয়া সম্ভব?

Seed money/investment: ব্যবসার প্রাথমিক মূলধণ বা বিনিয়োগ যা সাধারণত ব্যবসায়ী নিজেই লগ্নি করে থাকেন। তবে অনেক সময় ব্যবসার আইডিয়া ভাল হলে তৃতীয় কেউও প্রাথমিক বিনিয়োগে আকৃষ্ট হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ব্যবসার মালিকানার বন্টন পরিবর্তন হয়ে থাকে।

Supplier: কাঁচামাল বা পাইকারি পণ্যের সরবরাহকারী। যার থেকে পণ্য নিয়ে আপনি বিক্রি করেন বা যার থেকে কাঁচামাল নিয়ে আপনি পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করেন।

Tagline: পন্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত আকর্ষণীয় স্লোগান ও কথা মালা। যা পন্যকে ক্রেতাকে কিনতে উদ্বুদ্ধ করে। ট্যাগলাইন ব্যবসারও হতে পারে।

Third party: ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষ। যেমন আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করে দেয় একজন মার্কেটার বা আপনার পণ্য ডেলিভারি করে দেয় একটি কুরিয়ার কোম্পানি। এক্ষেত্রে মার্কেটার এবং কুরিয়ার হলো তৃতীয় পক্ষ। তৃতীয় পক্ষ কমিশন বা চার্জের মাধ্যমে আপনাকে সেবা দিয়ে থাকে।

TIN: Tax Identification Number. ব্যবসায়ী হিসেবে আপনি সরকারকে যে কর দিচ্ছেন সেই পরিচয়মূলক নাম্বার। যে কোন ব্যবসায়ীর TIN থাকা অবশ্যই উচিত।

Trade license: যে কোন ব্যবসার আইনগত বৈধতার দলিল। ট্রেড লাইসেন্সের গুরুত্বপূর্ন অংশ ব্যবসার ধরণ এবং বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট কোন ব্যবসার ধরণ নেই, এক্ষেত্রে আইটি বা সাপ্লাইয়ার ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরষভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স করা যাবে।

Trademark: পন্যের নির্দিষ্ট ডিজাইন লেভেল ও ফিচার যা রেজিস্ট্রনের ফলে পন্যের একটা আইনগত সত্ত্বা লাভ করে। বাজারজাতকৃত সব পন্যের জন্যই এটা জরুরী।

Trial: বিভিন্ন বানিজ্যিক সফটওয়্যার প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে ব্যবহারের সময়সীমা। ট্রায়াল পিরিয়ডে মূলত সফটওয়্যারটির বিভিন্ন ফিচার এবং কার্যবিধি যাচাইবাছাই করা হয়ে থাকে।

USP: Unique selling proposition/point. যে কোন ব্যবসার এক বা একাধিক USP থাকে, USP বলতে আপনার পণ্য/সার্ভিসে বা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় এমন কি নতুনত্ব বা ভিন্নতা আছে যা অন্যানদের মধ্যে নেই এরকমটাই বুঝায়।

Venture capital: ভেঞ্চার ক্যাপিটাল মূলত বিভিন্ন ব্যবসায় প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক বিনিয়োগকারী। আপনার ব্যবসার সম্ভাবনা অনুযায়ী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ করতে পারে, এর বিনিময়ে বিভিন্ন শর্তে হয়ে থাকে যেমন কয়েকগুন লভ্যাংশ ফেরত দেয়া বা কোম্পানির শেয়ারের কিছু অংশ দিয়ে দেয়া ইত্যাদি।

Wholesale: পাইকারি বিক্রি। আপনি যদি উৎপাদক হয়ে থাকেন তাহলে খুচরা বিক্রেতার কাছে একবারে অধিক সংখ্যক পণ্য বিক্রি করতে পারেন। পাইকারি পণ্যের মূল্য খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশ কম হয়ে থাকে।

Working capital: কার্যকরী মুলধন। যে পরিমান অর্থ আপনি ব্যবসায় চালাতে খাটাতেই হয়।

Market Research

Business analytics: ব্যবসার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে এমন ডেটাভিত্তিক রিপোর্ট বা অ্যানালাইসিস।

Competitor analysis: আপনি যেই নিস বা পণ্য নিয়ে ব্যবসা করছেন সেই একই নিস বা পণ্যের ব্যবসায়ীরা আপনার প্রতিদন্দী। তাদের স্ট্রাটেজি, বাজেট, প্রচারণা, পণ্যের কোয়ালিটি, সার্ভিস ইত্যাদির উপর আপনাকে রিসার্চ করতে হবে।

Customer analysis: সম্ভাব্য কাস্টমারদের প্রোফাইলিং যেমন তার বয়স, লিঙ্গ, ব্যয় করার ক্ষমতা, তার পছন্দের জিনিস, তার ব্যক্তিজীবন এবং শপিং এর অভ্যাস ইত্যাদি দিয়ে কাস্টমারের অ্যানালাইসিস করা হয় এবং সেভাবে তার কাছে পণ্য উপস্থাপণ করতে হয়।

Data: ব্যবসার যে কোন তথ্য। পণ্যের তথ্য, ইনভেন্টরির তথ্য, সম্ভাব্য কাস্টমারের লিস্ট, সার্ভিস গ্রহীতাদের লিস্ট, বিক্রিত পণ্যের পরিমান, লেনদেনের পরিমান এসব কিছুই আপনার ব্যবসার মূল্যবান ডেটা।

Demand: পণ্যের চাহিদা। নতুন বা ইউনিক কোন পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সাধারণত। চাহিদা এবং যোগানের ভারসাম্য না থাকলে পণ্যের দাম বাড়ে।

Demographic segmentation: বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতীয়তা, আয় ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য কাস্টমারের বিভক্তিকরণ।

Geographic segmentation: সম্ভাব্য কাস্টমারের এলাকাভিত্তিক বিভক্তিকরণ।

Google form: গুগলের একটি ফ্রি ফর্ম সার্ভিস। খুব সহজে কোন তথ্য সংগ্রহ বা জরিপের জন্য বহুল ব্যবহৃত ফর্ম।

Growth: ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি। শতকরা হারে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হিসেব করা হয়ে থাকে।

Market analysis: বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক বাজার বিশ্লেষণ। পণ্যের চাহিদা, সরবরাহ, সম্ভাবনা, প্রতিকূলতা, প্রতিদ্বন্দিতা ইত্যাদি সবকিছুর গবেষণা।

Market fit: বাজারে কোনও পণ্য বা সেবার ভালো চাহিদা থাকা, যা পাওয়া মাত্রই ক্রেতারা লুফে নিবে।

Market scope: এমন পন্য যার বাজারে চাহিদা আছে কিন্তু সরবরাহ নেই।

market-research-storrea

Market segmentation: পণ্য এবং কাস্টমারের প্রেক্ষিতে বাজারজাতকরণের জন্য বাজারকে বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করা।

Market share: কোনো পন্যের বাজারে কতটুকু অবস্থান তা জানার উপায়। এর মাধ্যোমে প্রতিযোগী পন্যের বা ব্যবসার অবস্থান সমন্ধে জানা যায়।

Market size: নির্ধারিত পণ্যের বাজারের আকার। মার্কেট সাইজ যত বড় ব্যবসার সুযোগও সাধারণত বেশি হয়।

Market trend: বাজারের চলতি ধরন। যুগের সাথে পরিবর্তিত মানুষের বিভিন্ন পন্যের চাহিদা যা বাজারে প্রতিফলিত হয়।

Media: পত্রিকা, ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া। মিডিয়ার সাথে নেটওয়ার্কিং থাকলে তা ব্যবসার জন্য সহায়ক।

PEST:  Political, economic, social and technological এনালাইসিস।  ব্যবসার গতিপ্রকৃতির সাথে এগুলোর সম্পর্ক আছে, তাই এগুলোর পর্যালোচনাসহ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করা উচিত।

Potential customer: সম্ভাব্য ক্রেতা। যিনি পন্যটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারেন।

PR: পাবলিক রিলেশন। ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায় সব পক্ষের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখার প্রচেষ্টা।

Qualitative research: গুনগত মানের গবেষনা। কোন পণ্য কেন কাস্টমার কিনবে বা কিভাবে পণ্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবেন সেই গবেষণা।

Quantitative research: পরিমান ও সংখ্যাভিত্তিক গবেষণা। গুনগত গবেষণার সংখ্যাভিত্তিক প্রমাণ, যেমন কতজন কাস্টমার এই ধরণের পণ্য ব্যবহার করেন বা আগ্রহী হতে পারেন।

Questionnaire: প্রশ্নমালা। বিভিন্ন সার্ভে ও রিসার্চের সুবিধার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রশ্নমালা টার্গেট জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করা হয় যার ফলাফল অনুযায়ী উদ্যোক্তা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।

Research: গবেষণা। পন্য, বাজার, ক্রেতাদের নিয়ে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান।

Risk analysis: ঝুঁকি বিশ্লেষন। ব্যবসায় বিনিয়োগ, পরিচালনা এবং রিটার্নের ঝুঁকি বিশ্লেষন।

Spending habit: ক্রেতাদের বিভিন্ন পন্য ক্রয় ও খরচের যে স্বভাব বা অভ্যাস তার বিশ্লেষণ।

Survey: জরিপ। ক্রেতাদের অভ্যাস, ট্রেন্ড, ব্যয় ক্ষমতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি নানা উপাত্তের উপর জনসাধারণের মতামত সংগ্রহ করা এবং সেগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা।

SWOT: Strengths, weaknesses, opportunities and threats অ্যানালাইসিস। ব্যবসার বা উদ্যোক্তার দক্ষতা বা শক্তির জায়গা, দূর্বলতা, সুযোগ বা সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতা, চ্যালেঞ্জ বা রিস্কের বিশ্লেষণ।

Target customer/market: নির্দিষ্ট ক্রেতা সাধারণ যারা আপনার পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে আকৃষ্ট হতে পারেন। টার্গেট মার্কেটকে লক্ষ্য করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ডিজাইন করতে হয়।

Traction: যে কোন ব্যবসায় পারফর্মেন্স নিয়ামক উপাদান গুলোর কার্যকারিতা বা এঙ্গেজমেন্টের পরিমান। আপনার কাস্টমার কত জন, কি পরিমান পণ্য বিক্রয় করেছেন, দৈনিক ভিজিটর কত জন ইত্যাদি সবকিছুই ট্রাকশনের অন্তর্ভুক্ত, ভাল ট্রাকশন থাকা মানে ব্যবসা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

Product Management

Authentic product: আসল বা অরিজিনাল পণ্য যা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই।

Automated stock control: সয়ংক্রিয়ভাবে স্টক নিয়ন্ত্রন, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার পরলে সেটি সয়ংক্রিয়ভাবে স্টক কমে যাবে এমন ব্যবস্থা।

Bulk product upload: এক সাথে একাধিক প্রোডাক্ট ওয়েবসাইটে আপলোডের ব্যবস্থা।

Catalog: আপনার সকল পণ্যের লিস্ট বা তালিকা। ওয়েবসাইটের ক্যাটালগ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিসহ সকল পণ্যের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

Category: পণ্যের রকম অনুযায়ী শ্রেনীবিন্যাস। যেমন আপনার পোশাকের ওয়েবসাইটে শার্ট, প্যান্ট, জুতা ইত্যাদি পণ্যের ক্যাটাগরি হতে পারে।

Cost price: পণ্যের ক্রয়মুল্য বা ক্ষেত্রবিশেষে উৎপাদন খরচ। অনেক সময় এক্ষেত্রে অপারেটিং খরচও যোগ করা হয়ে থাকে।

Currency: মুদ্রার নাম, বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে কারেন্সি বিভিন্ন হয়ে থাকে, আপনি যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য বিক্রয় করেন তাহলে ওয়েবসাইটে পণ্য বিভিন্ন কারেন্সিতে দেখাতে হয়।

Discounted product: বিক্রয়মূল্যে ছাড়কৃত পণ্য, প্রোমোশনাল বা স্টক আউট করার উদ্যেশ্যে পণ্যে ছাড় দেয়া হয়ে থাকে।

Featured product: বাছাইকৃত পণ্য, ওয়েবসাইটে আপনার উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো ফিচারড হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।

First hand sourcing: নিজেই পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করা। ক্ষেত্র বিশেষে মূল উৎপাদক বা আমদানিকারক থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহ করা।

Import: আমদানি। অন্য দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে পণ্য উৎপাদন বা সরাসরি পণ্য আমদানি করা। আমদানি করার জন্য বিশেষ লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

Product-Management-storrea

Inventory: গুদাম ব্যবস্থাপনা বা পণ্যের শ্রেনীবদ্ধ সংরক্ষণ। ব্যবসায় আপনার পণ্যের স্টক ম্যানেজমেন্ট। ইনভেন্টরি সঠিকভাবে ম্যানেজ করার জন্য সাপ্লাই চেইন যথাযথভাবে মেইনটেইন করতে হবে।

Margin: পণ্যের বিক্রয়মূল্যের সাথে ক্রয়মূল্য বা উৎপাদন খরচের ব্যবধান। ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট পরিমান বা শতাংশ হারে মার্জিন রেখে থাকেন।

Out of stock: শেষ হয়ে গেছে বা বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে নেই এমন পণ্য। ওয়েবসাইটে পণ্য আউট অফ স্টক দেখানোর মানে এই মুহুর্তে সেই পণ্য স্টকে নেই এবং পণ্যের অর্ডার গ্রহন সম্ভব না।

Price comparison: বাজারে থাকা একই ধরনের প্রোডাক্টের মূল্যের তুলনামূলক পর্যালোচনা।

Price on sale: প্রমোশন বা স্টক খালি করার উদ্যেশ্যে পণ্য বিশেষ ছাড়ে বিক্রয়মূল্য।

Product attribute/specification: পণ্যের বিস্তারিত তথ্য ও বিশিষ্টতা উল্লেখ করা।

Product code: পণ্যের কোড নাম্বার। ব্যবসায়ীরা সকল পণ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট কোড ব্যবহার করে থাকেন।

শুনুন সফল উদ্যোক্তার গল্প

Product collection: বিশেষ উদ্যেশ্য পণ্যের কালেকশন তৈরি করা, যেমন নতুন প্রোডাক্ট কালেকশন, ডিস্কাউন্টেড প্রোডাক্ট কালেকশন ইত্যাদি।

Product comparison: বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগী পণ্যের মান ও দামের ভিত্তিতে তুলনা।

Product description: পণ্যের বর্ণনা। পণ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য যা ওয়েবসাইটে ক্রেতার জন্য উল্লেখ থাকে।

Product image: পণ্যের ছবি। সবসময় ভাল রেজুলিউশনের পণ্যের ইমেইজ ব্যবহার করা কাম্য।

Product name: পণ্যের নাম। ওয়েবসাইটে পণ্যের পূর্ণ এবং সঠিক নাম ব্যবহার করতে হবে।

Product photography: পণ্যের ফটোগ্রাফি। পণ্য সোর্স করার পর সেটির ফটোগ্রাফি করে ডিজাইন সহ আপলোড করা হয়।

Product search: ওয়েবসাইটে পণ্যের খোঁজার অপশন।

Product sourcing: বিক্রির জন্য পণ্য উৎপাদক বা সাপ্লাইয়ারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া।

Product upload: ওয়েবসাইটে বা ফেসবুকে পন্যের নাম, দাম, বর্ণনা এবং ছবি সব তথ্য পোষ্ট আকারে দেয়া।

Product variant: পণ্যের রকমফের। পণ্যর রং, আকার, সাইজ, মান ইত্যাদির ভিত্তিতে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা।

Production: পণ্যের উৎপাদন।

Replica product: আসল প্রোডাক্টের অনুলিপি। অনেক সময় আসল প্রোডাক্টের অনুরুপে কম দামি রেপ্লিকা তৈরি করা হয়।

Restock: পণ্যের স্টক শেষ হয়ে গেলে সেটি পুনরায় সোর্স করা বা স্টক করা।

Sell price: বিক্রয়মূল্য। যেই মূল্যে পণ্যটি ক্রেতার কাছে বিক্রয় হয়।

SKU: Stock keeping unit। স্টক করা পণ্যের কোড, বারকোড বা আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার।

Stock: স্টক। মজুদকৃত পণ্য। চাহিবা মাত্র দেয়া যাবে এরকম ব্যবস্থা। যেমন আপনার স্টকে ১০ টি পণ্য থাকলে আপনি ১০টিই বিক্রি করতে পারবেন, তারপর রিস্টক করতে হবে বা প্রি-অর্ডার নিতে হবে।

Stock alert: স্টকের পরিমান সম্পর্কে নোটিফিকেশন। যেমন আপনার স্টকে আর একটি মাত্র পণ্য আছে সে সময় আপনাকে সিস্টেম থেকে বিশেষ সতর্কতা পাঠানো।

Sub category: পন্যের ক্ষুদ্র শ্রেনী বিন্যাস। যেমন শাড়ির সাব ক্যাটাগরি হতে পারে জামদানি শাড়ি, বেনারসি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, কাতান শাড়ি ইত্যাদি।

Supply chain management: একটি এমন ব্যবস্থাপনা যার মাধ্যমে পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদন, বাজারজাত, বিক্রয় পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। চাহিদা এবং যোগানের ভারসাম্য রক্ষা হয়।

Unit: পণ্যের ক্ষুদ্র একক। যেমন ১ পিস শার্ট হতে পারে আবার ১ কেজি চাল হতে পারে।

Technology

Alexa ranking: বিভিন্ন সাইটে ভিজিটরের সংখ্যা এবং এঙ্গেজমেন্টের উপর ভিত্তি করে র‍্যাংকিং; যেমন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী ভিজিট হয় গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, এরপর প্রথম আলো।

API: Application program interface. দুটি বিভিন্ন সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।

API integration: দুটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে যোগাযোগ বা শেয়ারিং এর জন্য এক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে আরেক অ্যাপ্লিকেশনের এপিআই ইন্টেগ্রেট করা হয়। যেমন আপনার ওয়েবসাইটে পেমেন্ট গেইটওয়ে যোগ করতে চাইলে পেমেন্ট গেইটওয়েরর এপিআই ইন্টেগ্রেট করতে হবে।

Automated bKash: ওয়েবসাইটে ট্রান্সেকশন আইডির মাধ্যমে অটোমেটিক বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার ব্যবস্থা, এরজন্য মার্চেন্ট বিকাশ একাউন্ট প্রয়োজন এবং ওয়েবসাইটে বিকাশ এপিআই ইন্টেগ্রেট করতে হয়।

Bandwidth: নির্দিষ্ট সময়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ডেটা প্রসেসিংয়ের পরিমান যা ফ্রিকোয়েন্সিতে উল্লেখ করা হয়। ব্যান্ডউইথ বেশি থাকা মানে ইন্টারনেটে ডেটা প্রসেসিং বা ব্যবস্থাপনা দ্রুত হবে। সহজ করে আরো বলা যায় আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে এবং এঙ্গেজমেন্ট করবে আপনার ডেটা ব্যান্ডউইথ তত বেশি লাগবে।

Cloud hosting: ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন হোস্টিংয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেখানে একটি ফিজিকাল সার্ভারের উপর হোস্টিংয়ের নির্ভরশীলতা থাকেনা বরং ইন্টারনেটে একাধিক সার্ভারের মাধ্যমে হোস্টিং থাকে। ক্লাউড হোস্টিং খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়।

CMS: Content management system. ওয়েব টেকনলজি যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরি এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস একটি সিএমএস। ওয়ার্ডপ্রেসের একটি প্লাগিন উকমার্স ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বহুল জনপ্রিয়।

Custom page: ওয়েবসাইটে তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন পেইজ যেমন About Us, Return policy, FAQ, Team ইত্যাদি।

Dashboard: নিয়মিত আপডেট হওয়া সব তথ্যের ভান্ডার। ওয়েবসাইটের অ্যাডমিন ড্যাশবোর্ড থেকে ওয়েবসাইটের একটি সার্বিক চিত্র পাওয়া যায়।

Database: যে কোন তথ্যের ভান্ডার। যেমন কাস্টমার ডেটাবেইজ যেখানে কাস্টমারদের ইমেইল বা ফোন নাম্বারের লিস্ট থাকে, প্রোডাক্ট ডেটাবেইজ যেখানে পণ্যের নাম, বিস্তারিত, দাম, স্টক ইত্যাদি তথ্য থাকে।

Domain: ওয়েবসাইটের মূল ঠিকানা বা নাম। যেমন প্রথম আলোর ডোমেইন prothomalo.com. ডোমেইন এক্সটেনশন .com, .net, .xyz, .org ইত্যাদি হতে পারে। ডোমেইন দেশ অনুযায়ীও হতে পারে, যেমন বাংলাদেশের জন্য রয়েছে .com.bd। ই-কমার্স ব্যবসার জন্য অবশ্য .com বহুল প্রচলিত।

Favicon: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিটের সময় ব্রাউজারের ট্যাবে ছোট করে সাইটের লোগো/নামের অংশের আইকন। যেমন ব্রাউজার থেকে ফেসবুক ভিজিট করলে ছোট করে সাদা/নীল রঙয়ের F আইকন থাকে।

Footer: ওয়েবসাইটের নিচের দিকের অংশ। এই অংশে সাধারণত ছোট করে ব্যবসার বর্ননা, নিউজলেটার সাবস্ক্রিপশন, সামাজিক যোগাযোগ বা কাস্টম পেইজের লিঙ্ক থাকে।

technology-storrea

Google analytics: গুগলের একটি ফ্রি পর্যালোচনা প্রদানকারী সার্ভিস। যেমন গুগল অ্যানালাইটিক্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের বিস্তারিত তথ্য এবং তাদের কার্জকলাপ অ্যানালাইসিস করা যায়।

Google map: গুগল ম্যাপে যে কোন অবকাঠামো বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়। ভিজিটরের সুবিধার্থে ওয়েবসাইটে অনেক সময় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে থাকে।

Google my business page: গুগল মাই বিজনেস পেইজের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ভেরিফাই করানো যায় এবং গুগল সার্চের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ তথ্যাবলী খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।

Google search console/ Google webmasters: গুগলের একটি ফ্রি সার্ভিস যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ইন্ডেক্সিং করা হয়, অর্থাৎ গুগল সার্চে কোন ওয়েবসাইটকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থাপনা।

Header: ওয়েবসাইটের উপরের দিকের অংশ। এই অংশে লোগো, সার্চবার, বিভিন্ন ক্যাটাগরির নেভিগেশন, যোগাযোগের নাম্বার, কাস্টমারের সাইন আপ/ইন ইত্যাদি থাকে।

Home page: ওয়েবসাইটের প্রথম পেইজ যাকে ল্যান্ডিং পেইজও বলা হয়, ব্রাউজারে ডোমেইন নাম দিয়ে হিট করলেই ওয়েবসাইটের হোম পেইজ আসে, হোম পেইজকে আকর্ষণীয় করতে থিমে নানান ডিজাইন করা হয়।

ভাল মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কি কি উপাদান থাকে?

Hosted platform: যে সব প্লাটফর্মে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেই ফ্রি হোস্টিং পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আলাদা ভাবে ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্টের হোস্টিং ম্যানেজ করার ঝামেলা থাকেনা। যেমন শপিফাই, বিগকমার্স, স্টোরিয়া এগুলো হোস্টেড ই-কমার্স প্লাটফর্ম।

Hosting: ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন রাখার জন্য জায়গা বা স্পেস নির্দিষ্ট ফি এর মাধ্যমে নিতে হয়, একেই হোস্টিং নেয়া বা করা বুঝায়।

Hosting space: ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করার জায়গার ক্যাপাসিটি। ব্যান্ডউইথ এবং সাইজ সহকারে হোস্টিং নির্ধারিত হয়।

Link/Hyperlink: ওয়েবসাইটের বিভিন্ন লিঙ্ক যা প্রোডাক্টের, ক্যাটাগরির বা কাস্টম পেইজ ইত্যাদির হতে পারে, লিঙ্ক এ ক্লিক করলে কোন পেইজে ডিরেক্ট হবে সেটি হাইপারলিঙ্কে উল্লেখ থাকে।

Image optimization: ভাল কোয়ালিটি এবং কম সাইজের ছবি। ওয়েবসাইটে আপলোডের ক্ষেত্রে ইমেইজ অপটিমাইজ করে নিতে হয়, না হলে ওয়েবসাইট লোড হতে সময় বেশি লাগে।

Image resolution: ভাল কোয়ালিটির ইমেইজ, ছবির রেজুলেশন ভাল হলে ওয়েবসাইটে দেখতে স্পষ্ট এবং ভাল দেখায়, ছবি জুম করলেও ফেঁটে যায় না।

Image size: ইমেইজের সাইজ সাধারণত কেবি বা এমবি তে হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটে আপলোডের ক্ষেত্রে ভাল রেজুলেশনের কম সাইজের ছবি নিয়ে কাজ করা ভাল।

Image Zooming: ওয়েবসাইটে পণ্যের ছবি আরো স্পষ্ট দেখার জন্য জুমিং অপশন থাকে।

Back link/ Inbound link: ব্যাকলিঙ্ক বা ইনবাউন্ড লিঙ্ক হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ডিরেক্ট হওয়ার লিঙ্ক। যেমন প্রথম আলোতে আপনার ব্যবসার উপরে একটি ফিচার হলো, সেখানে আপনার সাইটের লিঙ্ক দেয়া থাকলো যাতে ক্লিক করলে সরাসরি আপনার সাইটে ভিজিটর আসতে পারে।

Landing page: সাধারণত ওয়েবসাইটের প্রথম পেইজ বা হোম পেইজকেই বিবেচনা করা হয়, তবে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের যে কোন পেইজকেই ডিরেক্ট করা যায় এবং তখন সেটিই হয় ল্যান্ডিং পেইজ।

Layout: ওয়েবসাইটের বিভিন্ন উপাদান যেমন লোগো, ব্যানার, সার্চবক্স, ক্যাটাগরির বিন্যাস, রেজিস্ট্রেশন, কাস্টম পেইজ ইত্যাদির অবস্থান এবং বিন্যাস, বিভিন্ন ওয়েবসাইট থিমে বিভিন্ন লে-আউট থাকে।

URL: Unique resource locator. ব্রাউজারে ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস দিলে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল এ ব্রাউজার হিট করে। কথ্যভাষায় ইউআরএল এ হিট করুন বা লিঙ্কে যান এভাবেই বলা হয়ে থাকে।

Loading speed: ব্রাউজার থেকে কোন ওয়েব পেইজে গেলে সেটি সম্পূর্ণ লোড হওয়ার সময়। ওয়েব পেইজ দ্রুততম সময়ে লোড হবে সেটিই কাম্য, তবে এক্ষেত্রে হোস্টিং ব্যান্ডউইথ, কন্টেন্ট ডিসট্রিবিউশন এবং ইমেইজ অপটিমাইজেশনের সম্পর্ক আছে।

Mobile app: যে কোন অ্যাপলিকেশন বা ওয়েবসাইটের মোবাইল ভার্সন। যেমন স্মার্টফোনে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ এবং আইওএস অ্যাপ।

Mobile responsive: ওয়েবসাইট যদি মোবাইল বা ট্যাবের ব্রাউজার থেকে কোন ডিজাইন ব্রেক ছাড়া সহজেই ব্যবহার করা যায় তাহলে সেই ওয়েবসাইটটিকে মোবাইল রেসপন্সিভ বলা যায়।

Navigation: ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা, যে কোন পেইজ বা কালেকশন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অংশ থেকে নেভিগেইট করা যায়। প্রোডাক্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরির মাধ্যমে নেভিগেইট করা যায়।

Outbound link: ইনবাউন্ড লিঙ্কের বিপরীত। আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্যান্য ওয়েবসাইটে ডিরেক্ট হওয়ার লিঙ্ক। যেমন আপনার সাইটে প্রথম আলোর প্রতিবেদনটির লিঙ্ক দিয়ে রাখলে সেখানে ক্লিক করলে ভিজিটর প্রথম আলোর সাইটে গিয়ে প্রতিবেদনটি পড়তে পারবে।

Pagination: একটি ওয়েবপেইজে কন্টেন্ট বা প্রোডাক্ট বেশি হয়ে গেলে পেইজিনেশনের মাধ্যমে পেইজ১, পেইজ২ ইত্যাদি এভাবে দেখানো হয়। প্রতিটি পেইজে কতগুলো প্রোডাক্ট দেখানো যাবে তা কনফিগার করা যায়।

Payment gateway: কাস্টমারের থেকে অনলাইন পেমেন্ট নিতে হলে সেটি প্রসেস করার জন্য ওয়েবসাইটে পেমেন্ট গেইটওয়ে ইন্টেগ্রেট থাকতে হবে। পেমেন্ট গেইটওয়ের মাধ্যমে বিকাশ, রকেট বা যে কোন ভিসা/মাস্টার ইত্যাদি কার্ডের মাধ্যমে কাস্টমার পেমেন্ট করতে পারে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেমেন্ট গেইটওয়ে প্রোভাইডার হল এসএসএল কমার্জ।

Paypal: আন্তর্জাতিক সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট গেইটওয়ে। দেশের বাইরে থেকে অনলাইন পেমেন্ট গ্রহন করতে চাইলে পেপাল সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম। বাংলাদেশে পেপাল এর একটি সার্ভিস জুম চালু আছে।

Plug-in: প্লাগ ইন হলো সফটওয়্যার কম্পোনেন্ট যা একটি অ্যাপ্লিকেশনে একটি নতুন ফিচার যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

Registration: যে কোন কিছুর লিপিবদ্ধকরণ। কাস্টমার আপনার সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, বা বিক্রেতা মার্কেটপ্লেসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। একে অনেকসময় সাইন-আপও বলা হয়। সাধারণত ইমেইল অ্যাড্রেস এবং পাসওয়ার্ড লিপিবদ্ধ করে সাইন আপ করতে হয়।

SAAS: Software as a service. সাবস্ক্রিপশন বেসিসে কোন সফটওয়্যারের সার্ভিস গ্রহন করা। এই ধরণের সার্ভিস গ্রহনে কারিগরি এবং ব্যবস্থাপনামূলক ঝামেলা অনেকাংশে কমে যায়। যেমন Storrea প্লাটফর্ম SAAS মডেলে কাজ করে।

Search: ওয়েবসাইটে যে কোন তথ্য বা প্রোডাক্ট খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়া বা উপায়। সাইটে সার্চবার থাকে, সেখানে কিছু লিখলেই সেই তথ্য বা প্রোডাক্ট কাস্টমার খুব সহজেই খুঁজে পায়।

Search engine: সার্চ ইঞ্জিনে কোন তথ্য সার্চ করলে সেই কি-ওয়ার্ড অনুযায়ী সকল তথ্য সম্বলিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক চলে আসে। বহুল ব্যবহৃত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হল গুগল।

Security: সাধারণত ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাকেই বুঝায়। ওয়েবসাইট সিকিউরড হতে হবে যেন হ্যাকার সাইটের গোপন তথ্য বের করতে না পারে বা সাইটের অনিষ্ট করতে না পারে। ওয়েবসাইট সিকিউরিটির অন্যতম একটি উপকরণ এসএসএল সার্টিফিকেট।

SEO: Search engine optimization. গুগলের সার্চ রেজাল্টে আপনার পণ্য বা ওয়েবসাইটকে আনতে হলে সাইটটিকে এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। অর্থাৎ কেউ আপনার পণ্যের কোন কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবে।

Shopping cart: ওয়েবসাইটের শপিং ব্যাগ। কাস্টমার প্রয়োজনীয় পণ্য শপিং কার্টে যোগ করতে পারবেন, তারপর চেক আউট করবেন বা কেনাকাটা সম্পন্ন করবেন।

Sitemap: সাইটম্যাপ সাধারণত এক্সএমএল ফাইল যাতে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজের ইউআরএল সংগ্রহীত থাকে সার্চ ইঞ্জিনে ক্রল করার জন্য।

Slide show: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যানার এবং প্রোডাক্টের স্লাইড-শো দেখা যায়। স্লাইড-শো এর মাধ্যমে অফার হাইলাইট করা যায়।

Spamming: ইন্টারনেটে অযাচিত অনাকাঙ্খিত বারংবার প্রেরিত তথ্য বা মেসেজ যা বিজ্ঞাপণের উদ্যেশ্যে সচরাচর করা হয়ে থাকে। অনেক সময় স্প্যামে ক্ষতিকর অ্যাপ্লিকেশনও থাকে যার মাধ্যমে আপনি হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।

SSL Certificate: Secure Socket Layer. ওয়েবসাইট এবং ব্রাউজারের মধ্যে যে তথ্যের আদানপ্রদান হয় তা বিশেষ নিরাপত্তা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার সার্টিফিকেট। SSL Certificate সাইটে ইন্সটল থাকলে ডোমেইনের পূর্বে https:// যুক্ত থাকে যা সাইটটি ব্রাউজ করা নিরাপদ সেটি নিশ্চিত করে।

Sub domain: মূল ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত সাব-ডোমেইন। যেমনঃ abc.xyz.com. এখানে xyz হলো মূল ডোমেইন এবং abc হলো সাব-ডোমেইন।

Subscription: অন্তর্ভুক্তিকরণ। সাবস্ক্রিপশন মডেলে ওয়েবসাইট সার্ভিস নেয়া যায় SAAS প্লাটফর্মগুলোতে। যতদিন সাবস্ক্রিপশন নেয়া হয় ততদিন সার্ভিস ব্যবহার করা যায়।

Theme/template: ওয়েবসাইটের আউটলুক। হোম পেইজ থেকে শুরু করে চেক আউট হওয়া শেষ পর্যন্ত সবগুলো পেইজই একটি থিমের আওতাভুক্ত থাকে। থিমের ডিজাইন এবং লে-আউট অনুযায়ী ওয়েবসাইট বানানোর খরচ কমবেশি হতে পারে।

Traffic volume: ওয়েবসাইট কি পরিমান ভিজিট হচ্ছে সেই পরিমান। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ভলিউম বেশি হওয়াই কাম্য, তবে ট্রাফিক অনুযায়ী ওয়েবসাইটের ব্যান্ডউইথ সমন্বয় করে নিতে হবে।

Uptime: ওয়েবসাইট লাইভ থাকার সময়, হোস্টিংয়ের সাথে সম্পর্কিত, ভাল জায়গার বা ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করলে ৯৯.৯৯% আপটাইম গ্যারান্টি পাওয়া যায়।

Website: যে কোন ব্যবসার অনলাইন পরিচয় হলো তার ওয়েবসাইট। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য অনলাইনে তুলে ধরা এবং বিক্রয় করা যায়।

Web crawler/spider: ইন্টারনেট বট যা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইন্ডেক্সিংয়ের উদ্যেশ্যে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে থাকে। অর্থাৎ নতুন যে কোন সাইট ইন্টারনেটে লিপিবদ্ধ করা এবং সার্চের জন্য সহায়ক করে তোলার টুল।

Marketing

Ad exchange: বিজ্ঞাপণ আদান প্রদানের মাধ্যম। যেখানে ডিজিটাল মিডিয়ার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কেনা বেচা করা যায়।

Advertisement: বিজ্ঞাপন। অফলাইনে এবং অনলাইনে পন্যের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য আকর্ষনীয় বিপণন কৌশল।

Affiliate marketing: রেফারেল মার্কেটিং। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পণ্যের বিপণন, সেই রেফারেন্সে পণ্য বিক্রয় হলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন দিতে হয়।

Awareness: পণ্য ও ব্রান্ড সমন্ধে সচেতনতা। নতুন পণ্য বা ব্যবসা হলে আগে মার্কেটে এবং কাস্টমারদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হয়।

Back linking: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক জেনারেট করা। যেমন প্রথম আলোতে আপনার ব্যবসার উপরে একটি প্রতিবেদনে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেয়া থাকলে আপনার একটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরি হলো।

Blog: ব্লগ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যপূর্ণ লেখার প্লাটফর্ম। যে কোন বিষয় নিয়েই ব্লগ হতে পারে। সাধারণত ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ব্লগের মাধ্যমে পণ্যের রিভিউ, মান, সুবিধা অসুবিধা এবং দামের তুলনামূলক বিশ্লেষণ ইত্যাদি নিয়ে আর্টিকেল থাকে।

Bounce rate: ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর যারা ওয়েবের অন্য কোন পেইজ ভিজিট না করেই সাইট ত্যাগ করে। শতকরা হারে বাউন্স রেইট প্রকাশিত হয়। যেমন ১০% বাউন্স রেইট মানে ১০ শতাংশ ভিজিটর ওয়েবসাইটের অন্যান্য পেইজ ভিজিট না করে হোম পেইজ থেকেই চলে যায়। বাউন্স রেইট যতটা সম্ভব কম হওয়াই কাম্য।

Branding: পণ্যে বা ব্যবসার কোনও নাম বা বিশিষ্টতার ভিত্তিতে পণ্য বা ব্যবসাকে বাজারে আলাদা সত্তা দান করা, যার মাধ্যমে ক্রেতা তা কিনতে আগ্রহ এবং নির্ভার বোধ করে।

Bulk email: ইমেইল মার্কেটিং। আপনার পণ্য বা সার্ভিস, অফার ইত্যাদি একসাথে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো। ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন মেইলচিম্প, স্পার্কপোস্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

Bulk SMS: এসএমএস মার্কেটিং। আপনার পণ্য বা সার্ভিস, অফার ইত্যাদি একসাথে টার্গেট কাস্টমারদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো। বাল্ক এসএমএস মাস্কিং (ব্যবসার নাম) সহ বা মাস্কিং ছাড়া হতে পারে।

Campaign: পন্যের প্রচারে ও বিক্রয় বাড়াতে ক্রেতাদের অংশগ্রহনমূলক নানান কার্যক্রম। প্রতিটি ক্যাম্পেইনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং ক্যাম্পেইন শেষে ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়।

marketing-storrea

Content: অনলাইনে ব্যবহৃত যে কোন লেখা, আর্টিকেল, ছবি, গ্রাফিক, ভিডিও ইত্যাদি। ভাল কন্টেন্ট ডেভেলাপ করার মাধ্যমে টার্গেট মার্কেটকে এঙ্গেজ করতে হয়।

Content marketing: নির্দিষ্ট ক্রেতাদের উপর ভিত্তি করে অনলাইনে তাদেরকে পন্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলার জন্য কন্টেন্ট তৈরি, পাবলিশ এবং ডিস্ট্রিবিউশন মার্কেটিং।

Conversion: টার্গেট অডিয়েন্স যখন আপনার ক্রেতায় পরিনত হয় তখন কনভার্সন হয়েছে বলা হয়।

CPC/PPC: Cost per click/Pay per click। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ভিজিটর/ক্রেতার প্রতিটা ক্লিকে কি পরিমান খরচ হচ্ছে তা হিসাবের পদ্ধতি।

CPI: Cost per impression। টার্গেট ভিজিটরের কাছে প্রতিবার বিজ্ঞাপণ দেখানোর খরচ।

CAC: Customer acquisition cost। অনলাইনে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে ভিজিটরকে ক্রেতায় পরিনত করার খরচের জনপ্রতি হিসাব।

Cross selling: বিক্রি বাড়ানোর জন্য ক্রেতার নিকট প্রাসঙ্গিক একাধিক পন্য এক সাথে বিক্রয়। যেমন ক্রেতার কাছে ল্যাপটপ বিক্রির সময় একই সাথে মাউস বা হেডফোন বিক্রি এরকম।

Customer database: ক্রেতার সব তথ্যের যেমন নাম, ঠিকানা, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার, অর্ডার হিস্টোরি ইত্যাদির ডেটাবেইজ। ক্রেতা একবার অর্ডার করলে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে আবারো যোগাযোগ বা পণ্যের প্রমোশন করা যায়।

Digital marketing: ডিজিটাল মিডিয়া যেমন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওয়েব সাইট, ব্লগ, ইমেইল, সার্চ ইঞ্জিন প্রভৃতির মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচারণা।

Discount coupon: প্রোডাক্ট বা সেবা ক্রয়ের সময় নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কম দামে কেনার কুপন। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে বেচাকেনার সময় বিভিন্ন ডিস্কাউন্ট কুপন ব্যবহার করা হয়।

Door to door marketing: সেলসম্যানের মাধ্যমে ক্রেতার ঘরে ঘরে পৌছে পণ্যের প্রচার এবং বিক্রির চেষ্টা।

Email marketing: ইমেইলের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের পন্য ও সেবা সমন্ধে জানানো, বিভিন্ন অফার পাঠানোর প্রক্রিয়া যেন তারা পন্য কিনতে বা সার্ভিস ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হোন।

Email marketing template: ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য পণ্য, সার্ভিস বা অফারের নানা তথ্য সমৃদ্ধ ফরম্যাট।

ওয়েবসাইট দরকার কিনা যাচাই করুন!

Engagement: ডিজিটাল মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতা এবং বিক্রেতার অংশগ্রহনমূলক কার্যকলাপ। ডিজিটাল বিজ্ঞাপণে ক্রেতার ফোন কল, জিজ্ঞাসা, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে বিক্রেতার সাথে এঙ্গেজমেন্ট তৈরি হয়।

Event: অনুষ্ঠান আয়োজন। পণ্য বা সার্ভিসে সম্ভাব্য ক্রেতাদের আগ্রহ এবং অংশগ্রহন বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে মিট আপ বা অনুষ্ঠানের আয়োজন।

Facebook boosting: অর্থের বিনিময়ে ফেসবুকে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করা যা টার্গেটেড ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ দেখে থাকে।

Facebook marketing: ফেসবুককে কেন্দ্র করে পণ্য বা সার্ভিসের বাজারজাতকরণ ও বিপণন ব্যবস্থা। ফেসবুকে বিভিন্ন কন্টেন্ট ব্যবহার করে কাঙ্খিত ব্যবহারকারীদের পণ্য কেনানোর উদ্যেশ্যে বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপণ এবং প্রচারণা।

Facebook page: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ফেসবুক পাতা। ব্যবসার পণ্য বা সার্ভিসের পরিচিতি সহ সব আপডেট সেখানে থাকে। ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে পণ্য উপস্থাপন এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাথে এঙ্গেজমেন্ট তৈরি করা যায়। পণ্যে বা সার্ভিসে আগ্রহী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চাইলে আপনার ফেসবুক পেইজ ফলো করতে পারেন।

Facebook pixel: ফেসবুক পিক্সেল একটি বিশেষ কোড যা ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করলে ফেসবুকে বিজ্ঞাপণ থেকে কারা ওয়েবসাইটে আসলো বা কেনাকাটা করলো সেই তথ্য সংরক্ষণ করা যায় যা পরবর্তীতে আবারো ফেসবুকে বিজ্ঞাপণে কাজে লাগানো যায়।

Facebook store app: একটি বিশেষ অ্যাপলিকেশন যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের পণ্যগুলোকে ফেসবুক পেইজের সাথে সয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ করে রাখা যায়।

Facebook video: ফেসবুকে পোষ্ট করা নানান ভিডিও। সাধারণত অনলাইন ব্যবসার প্রসারের উদ্যেশ্যে পণ্যের পরিচিতি, বিবরণ, রিভিউ, কাস্টমার ফিডব্যাক ইত্যাদির উপর ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

Google adsense: আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে আপনার অনুমতি সাপেক্ষে সেখানে গুগল অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপণ দেখাতে পারে, বিনিময়ে আপনি গুগল থেকে কিছু অর্থ আয় করতে পারেন। ব্যাপারটি নিজের সাইটের কিছু জায়গা গুগলকে ভাড়া দেয়ার মত।

Google adwords: আপনি অন্যান্য সাইটে গুগলের মাধ্যমে নিজের বিজ্ঞাপণ দিতে পারেন। টার্গেট কাস্টমার যদি সেই বিজ্ঞাপণ ভিজিট করে তাহলে আপনার গুগলকে অর্থ প্রদান করতে হবে। ব্যাপারটি গুগলের কাছে বিজ্ঞাপণের জন্য কিছু জায়গা ভাড়া নেয়ার মত।

Graphic content: বিজ্ঞাপণের ভিজুয়াল কন্টেন্ট যেমন ইমেইজ, জিআইএফ, ভিডিও ইত্যাদি। গ্রাফিক কন্টেন্টে বিজ্ঞাপণের উদ্যেশ্য এবং ব্রান্ডিংয়ের সমন্বয় করা হয়।

Interview: সাক্ষাৎকার। অনলাইন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট যে কারো যেমন ক্রেতার, সাপ্লাইয়ারের বা উদ্যোক্তার সাক্ষাতকার ব্লগ বা ভিডিও হতে পারে।

Keyword research: পণ্য সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট শব্দমালা যা দিয়ে একজন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করতে পারেন। যেমন আপনি যদি জামদানী শাড়ির ব্যবসা করে থাকেন তাহলে ‘জামদানী শাড়ি’, ‘সেরা জামদানী শাড়ি’, ‘সাশ্রয়ী জামদানী শাড়ি’, ‘ঢাকাইয়া জামদানী শাড়ি’ ইত্যাদি আপনার সুবিধাজনক কি-ওয়ার্ডস হতে পারে। ব্যবসা এবং পণ্য ভেদে সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড খুঁজে বের করা এবং সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে নিয়ে আসা যে কোন অনলাইন ব্যবসায়ীর লাভজনক।

Lead: অনলাইন ব্যবসায় সম্ভাব্য ক্রেতার ফোন কল, জিজ্ঞাসা, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, ইমেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি সবকিছুই লিড। লিড পরিচর্যা করে তাকে ধীরে ধীরে ক্রেতায় পরিনত করতে হয়।

Loyalty bonus: বিশ্বস্ততার বোনাস। ক্রেতার সাথে দীর্ঘ মেয়াদে সম্পর্ক তৈরি হলে বা ক্রেতা নিয়মিত আপনার থেকে পণ্য/সেবা গ্রহন করে থাকলে তাকে লয়ালিটি বোনাস/ডিস্কাউন্ট দিতে পারেন।

Meta description: যে কোন ওয়েব পেইজের ছোট বর্ননা যা সার্চইঞ্জিনে সার্চ দিলে পাওয়া যায়।

Meta Keywords: সার্চ দিলে ওয়েবসাইটের যে শব্দগুলো সার্চইঞ্জিনে দেখা যায়।

Meta title: সার্চ দিলে ওয়েব সাইটের যে তথ্য ট্যাগলাইনে আসে।

Newsletter: আপনার ব্যবসার পণ্য বা সেবার তথ্যবিবরণী। কোন ভিজিটর আপনার সাইটে নিউজলেটার সাইন আপ করলে তাকে নিয়মিত ব্যবসার তথ্যবিবরণী পাঠাতে হয়। সাধারণত সয়ংক্রিয় ইমেইলের মাধ্যমে কার্যটি সম্পাদন হয়ে থাকে।

On page SEO: ওয়েবপেইজের সুনির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যার মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করলে সেই পেইজটি সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে পাওয়া যায়।

Organic growth/reach: ব্যবসার প্রাকৃতিক প্রবৃদ্ধি বা বিস্তৃতি। অর্থযোগ ছাড়া নিয়মিত ব্যবসার বা পণ্যের প্রবৃদ্ধি। অর্গানিক গ্রোথের জন্য সৃষ্টিশীল এবং বৈচিত্রপূর্ণ কন্টেন্ট খুবই জরুরী।

Paid growth/reach: অর্থযোগে লব্ধ ব্যবসা বা পণ্যের প্রসার বা প্রবৃদ্ধি। প্রমোশন ক্যাম্পেইনের সময় অর্থ ব্যয় করে অধিকসংখ্যক বিস্তৃতি লাভ করা যায়।

PBN: ব্যক্তিগত ব্লগ নেটওয়ার্ক। নির্দিষ্ট চক্রের মধ্যে একে অন্যের ব্যবসার বা সাইটের লিঙ্ক শেয়ার করার নেটওয়ার্ক।

Popup: ওয়েবসাইটে বিশেষ বিজ্ঞাপণ উইন্ডো। ওয়েবসাইটে পপ আপের মাধ্যমে চলতি অফার, নিউজলেটার সাইন আপ ইত্যাদি সাধারণত তুলে ধরা হয়। ওয়েবসাইটে প্রবেশের পরে বা নির্দিষ্ট সময় পরপর সাইটে পপ আপ উইন্ডোর আবির্ভাব ঘটে থাকে।

PR: পাবলিক রিলেশন। ক্রেতা ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক পক্ষ যেমন এসোসিয়েশন, মিডিয়া, এজেন্সি ইত্যাদির সাথে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ রক্ষা করার কৌশল।

গ্রুপ থেকে অনলাইন ব্যবসা শিখুন

Press release: প্রেস রিলিজ। ব্যবসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবিবরণী যেমন নতুন পণ্যের খবর, সমঝোতা চুক্তির খবর ইত্যাদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানোর প্রক্রিয়া।

Product review/rating: পণ্যে বা সেবার মূল্যায়ন বা গুনগত মানের রেটিং। ক্রেতা আপনার পণ্য/সেবা ব্যবহার করে তার মতামত বা রেটিং দিতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনার বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ সংযুক্ত করা জরুরী কারণ তা পরবর্তী সম্ভাব্য ক্রেতার জন্যএবং ব্যবসায়ীক আস্থা তৈরিতে সহায়ক হয়।

Reach: পণ্য বা সেবার বিস্তৃতি নির্ধারণ। যে কোন প্রচারণা ক্যাম্পেইনে বিজ্ঞাপণের বিস্তৃতি কতজনের মধ্যে হবে তা নির্ধারণ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী অর্গানিক এবং মনেটাইজেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপণটি তাদের মাঝে পৌছে দেয়া হয়।

Rebranding: নতুন করে পণ্য বা সেবা তথা ব্যবসার ব্রান্ডিং করা। রিব্রান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন পণ্য/সেবার সংযোজন, লোগো, ব্যবসার থিম সহ সার্বিক মোটিভ নিয়ে কাজ করা হয়। রিব্রান্ডিং সবসময়ই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। উদাহরণ দেয়া যেতে পারে ‘এখনি ডট কম’ কে রিব্রান্ড করে ‘বাগডুম ডট কম’ বানানো হয়েছে।

Retargeting: ব্যবসার টার্গেট কাস্টমারদের মাঝে পণ্য বা সেবার পুনরায় উপস্থাপণ। একটি বিজ্ঞাপণ নির্দিষ্ট সময় পর পর একই ব্যক্তিকে দেখানোর কৌশল।

SEO: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ওয়েবসাইটের অন পেইজ এবং অফ পেইজ এসইও এর মাধ্যমে গুগল বা জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে এসে অনলাইনে বাজার দখল নেবার একটি প্রক্রিয়া।

SMS marketing: টেক্সট ম্যাসেজ বা খুদে বার্তার মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পন্য বা সেবার উপস্থাপণ। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্রেতাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ এবং এসএমএস করে নিয়মিত পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি বাড়ানো যায়।

SMS musking: এসএমএস যেই প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয় সেন্ডার নাম্বারের পরিবর্তে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।

Social media: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিঙ্কডইন, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর প্রচুর ব্যবহারকারীদের মাঝে টার্গেটেড পণ্য বা সেবার প্রচারণা করা হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল ফেইসবুক।

Sponsorship: বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যেশ্যমূলক অংশগ্রহন।

Target: নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা। বিক্রেতা যা নির্ধারণ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। টার্গেট পণ্য বা সেবার রিচ, কনভারশন, লাভ ইত্যাদি নানান লক্ষ্যে হতে পারে।

Telemarketing: ফোন কলের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয়। বিক্রেতার কাছে টার্গেট কাস্টমারের ফোন নাম্বার লিস্ট থাকলে তিনি টেলিমার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে পণ্য/সেবার প্রচারণা করতে পারেন।

Text content: যে কোন লিখিত কন্টেন্ট। ধরুন ফেসবুকে একটি ইমেইজ পোস্ট করার সময় কিছু বর্ণনা লিখা, বা ইমেইজের ভেতরে যেই টেক্সট আছে তা। টেক্সট কন্টেন্টে ব্যতিক্রমী কিন্তু সুস্পষ্ট মেসেজ থাকা উচিত।

Traffic: ওয়েবসাইটে কতজন ভিজিটর আসে তার পরিসংখ্যান। অর্গানিক বা পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক জেনারেট করা হয়ে থাকে।

Up selling: পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের একটি বিশেষ কৌশল। একই ক্যাটাগরির তুলনামূলক বেশি মূল্যের পণ্য উপস্থাপন করে তা বিক্রির চেষ্টা। যেমন আপনি কোর আই ৩ পিসি কিনতে চাইলেন বিক্রেতা আপনাকে কৌশলে কোর আই ৫ কিনতে রাজি করালো। আবার অনেক সময় কোর আই ৩ স্টকে নেই বা চলে না বলে কৌশলে কোর আই ৫ বিক্রির চেষ্টা।

VAS: Value Added Service বা মুল্য সংযোগকারী সেবা। আপনার নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি বাড়তি সেবা যা কাস্টমারের জন্য সহায়ক হয়। যেমন ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়ার সার্ভিসের সাথে সংযোগকারী সেবা হিসেবে গ্রাফিক কন্টেন্ট দেয়া।

Viral content: বহুল প্রচারিত কন্টেন্ট যা অর্গানিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্সের বাইরেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে যায়। ব্যবসার কোন কন্টেন্ট (ভিডিও, ইমেইজ বা পোস্ট) ভাইরাল হয়ে গেলে সর্বব্যাপী পরিচিতি পায় এবং ব্যবসার জন্য অনেকসময় সহায়ক হয়।

Youtube video: ইউটিউব হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। ব্যবসার পরিচিতি, পণ্যের পরিচিতি, রিভিউ, টিউটোরিয়াল, প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন ইত্যাদি ইউটিউবের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে ভিডিও আকারে দেখানো হয়ে থাকে।

Operations

Bank card: ব্যাংকের বিভিন্ন কার্ড যেমন ভিসা, মাস্টার, অ্যামেক্স, নেক্সাস ইত্যাদি যার মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়।

Bank transfer: এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্ট বা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো। বিক্রেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট ট্রান্সফার করে অনলাইন কেনাকাটা করা যায়।

Billing address: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতার যেই ঠিকানায় বিক্রেতা বিল পাঠাবে সেই ঠিকানা।

Cart abandonment report: ওয়েবসাইটে ক্রেতা পণ্য কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে তা শপিং কার্ট/বাস্কেটে তুলে থাকেন, তবে সেটি শেষপর্যন্ত অর্ডার প্লেস করা না হলে সেটি পাওয়া যায় কার্ট অ্যাবানডনমেন্ট রিপোর্টে।

Cash back: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেতার জন্য ক্যাশ মূল্য ফেরত অফার। যেমন কোন পণ্যে ১০% ক্যাশব্যাক অফার থাকা মানে পণ্যটি কেনার পর ১০% মূল্য আবার ফেরত চলে যাবে ক্রেতার কাছে। ক্যাশব্যাক অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে কাজ করে।

Checkout: ওয়েবসাইটে ক্রেতার অর্ডার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। চেক আউটের বিশেষ কিছু অংশ হল বিলিং এবং শিপিং তথ্য দেয়া, ডেলিভারি এবং পেমেন্ট সিস্টেম বাছাই।

COD: ক্যাশ অন ডেলিভারী। এই প্রক্রিয়ায় ক্রেতা পন্য হাতে পেয়ে মুল্য পরিশোধ করতে পারেন।

Commission: বিক্রয়মূল্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন। সাধারণত মার্কেটপ্লেসগুলো পণ্য বিক্রয়ের উপরে কিছু কমিশন নিয়ে থাকে। আবার অনলাইন পেমেন্ট প্রোভাইডাররাও ট্রান্সেকশন অ্যামাউন্টের উপর কমিশন বা ফি নিয়ে থাকেন।

Contact us: বিক্রেতার সাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম। ওয়েবসাইটে একটি ফর্ম থাকে সেখানে আগ্রহী ক্রেতা চাইলে বিক্রেতাকে মেসেজ পাঠাতে পারেন। এছাড়া এই পেইজে বিক্রেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বারও থাকে।

CRM: কাষ্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট। বিক্রেতা যেন সকল কাস্টমারের তথ্য এবং ফলো-আপ গুছিয়ে পরিচালনা করতে পারেন সেই সলিউশন।

Customer care: পন্য সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন, আগ্রহ, অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য কাস্টমার কেয়ার ব্যবস্থা থাকে।

Customer profile: ক্রেতার বিস্তারিত তথ্য। পণ্য ক্রয়ের সময় ক্রেতা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেন এবং তার প্রোফাইলে তার ঠিকানা, ক্রয়কৃত পণ্য, অর্ডার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

Customer registration: পণ্য ক্রয়ের সময় ক্রেতা ওয়েবসাইটে তার নামে, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার বা পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।

Delivery information: পন্যের ডেলিভারি সংক্রান্ত তথ্য যেমন কতদিন লাগবে, কি মাধ্যমে ডেলিভারি হবে ইত্যাদি, অনেকসময় বিভিন্ন পণ্যের ডেলিভারির প্রক্রিয়া বিভিন্ন হয় সেটি ওয়েবসাইটে সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকে।

Disbursement: বিক্রিত পণ্যের টাকা বিক্রেতার কাছে হস্তান্তর। যেমন অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেইটওয়ে প্রোভাইডার, ডেলিভারির পর কুরিয়ার কোম্পানি বিক্রেতাকে টাকা ডিসবার্স করেন একটি নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ রেখে।

Discount management: পণ্যে ছাড়ের ব্যবস্থা। ওয়েবসাইটে ডিস্কাউন্ট কোড ব্যবহারের মাধ্যমে কেনাকাটায় ছাড় পাওয়া যায়।

ERP: এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং। কোন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অংশের কাজ কিভাবে চলবে তা সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রন।

operations-storrea

Free shipping: ক্রেতার কাছে ডেলিভারি চার্জ ছাড়া পণ্য পাঠানো। অনেকে ফ্রি শিপিং অফার করেন আবার অনেকে নির্দিষ্ট পরিমান কেনাকাটা করলে ফ্রি শিপিং দেন।

Guest checkout: রেজিস্ট্রেশন না করে পণ্য ক্রয় সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া।

Hotline: বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে আগ্রহী ক্রেতার যোগাযোগ করার মোবাইল বা ফোন নাম্বার। হটলাইন সাধারণত ২৪ ঘন্টা চালু থাকে।

Internet banking: ইন্টারনেটে পেমেন্টের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার লেনদেন করার প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা দিয়ে থাকে।

Invoice: চালান রশিদ বা ক্যাশ মেমো। পণ্য কেনার পর ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে ইনভয়েস পেয়ে থাকেন।

IP phone: ইন্টারনেট ফোন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে হটলাইনের ব্যবস্থা যেখানে একাধিক কাস্টমারের সাথে একসাথে কথা বলা যায়।

Live chat: পন্য বা সেবা নিয়ে ক্রেতার সাথে বিভিন্ন লাইভ চ্যাট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আলাপ করার প্রক্রিয়া। ওয়েবসাইটে লাইভ চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন ইন্টেগ্রেটেড থাকলে ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতা সরাসরি আলাপ করতে পারেন।

Logistics/courier: কুরিয়ার/পার্সেল সার্ভিস। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রেতা পন্য ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠাবে। কুরিয়ার কোম্পানি বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ক্রেতার কাছে পৌছে দেন এবং মূল্য তাদের চার্জ কেটে বিক্রেতাকে ফেরত দেন।

Merchant bKash: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিকাশে লেনদেনের নাম্বার। মার্চেন্ট বিকাশের জন্য আলাদা অ্যাডমিন প্যানেল থাকে যার মাধ্যমে সকল লেনদেনের ট্রাকিং থাকে। ওয়েবসাইটে মার্চেন্ট বিকাশ ইন্টেগ্রেট থাকলে ট্রান্সেকশন আইডির মাধ্যমে অটোমেটেড উপায়ে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করা যায়।

Notification: ওয়েবসাইটে অর্ডার প্লেস হলে বিক্রেতা এবং ক্রেতার কাছে ইমেইল বা এসএমএস এর মাধ্যমে নোটিফিকেশন যাওয়ার প্রক্রিয়া।

Online payment: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনাকাটার সময় অনলাইনে যেমন কার্ডের মাধ্যমে বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের উপায়।

Order: ক্রেতা ওয়েবসাইটে পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে অর্ডার প্লেস করেন। অর্ডার প্লেস করার ক্ষেত্রে ক্রেতার ঠিকানা, ডেলিভারি সিস্টেম এবং পেমেন্ট সিস্টেম নির্ধারণ করে দিতে হয়।

Order fulfillment: ক্রেতার দেয়া অর্ডারকৃত পন্যের অর্ডার গ্রহন, সংগ্রহ, মান যাচাই এবং ক্রেতার কাছে পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া।

Order status: ক্রেতা অর্ডার প্লেস করার পর সেটি বিভিন্ন পর্যায়ে প্রসেস হয়ে থাকে। যেমন অর্ডার গ্রহন বা বাতিল করা, প্যাকেজিং, শিপমেন্টে পাঠানো, ডেলিভারি সম্পন্ন করা, পেমেন্ট গ্রহণ, অর্ডার ক্লোজ করা ইত্যাদি।

Order tracking: ক্রেতার অর্ডারকৃত পণ্যের ব্যবস্থাপনা বা ডেলিভারির অবস্থা জানার উপায়। সাধারণত ওয়েবসাইটে অর্ডার নাম্বার দিয়ে সার্চ করে অর্ডারের স্ট্যাটাস জানা যায়।

Packaging: ডেলিভারির পূর্বে অর্ডারকৃত পণ্য সঠিকভাবে মোড়কে প্রস্তুত করা। পণ্যভেদে প্যাকেজিং ভিন্ন হয়ে থাকে, প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করা যায়।

Product delivery: ক্রেতার অর্ডারকৃত পন্য বা সেবা ক্রেতার নিকট যথাযথভাবে পৌছে দেয়া।

Referral: রেফারেন্স সিস্টেম। এর মাধ্যমে তৃতীয় কারো রেফারেন্সে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা যায়। রেফারার বিক্রিত পণ্য বা সেবার মূল্যের কিছু অংশ কমিশন পেয়ে থাকেন।

Report: ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাদানের নির্ধারিত তথ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান। যেমন সেলস রিপোর্ট, ভিজিটর রিপোর্ট, ট্রান্সেকশন রিপোর্ট ইত্যাদি।

Return/refund policy: ব্যবসায় পণ্য পরিবর্তন বা মূল্য ফেরতের বিধিমালা। ক্রেতা পন্য নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকলে তা কিভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন বা পরিবর্তন সম্ভন না হলে মূল্য ফেরত পাবেন তা নিয়ে বিক্রেতার সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্টেশন।

Sales report: নির্দিষ্ট সময়ে পন্য ও সেবা কি পরিমান বিক্রি হলো তার তালিকা।

রিয়েল লাইফ ই-কমার্স হ্যাকস জানুন

Shipping address: অর্ডার ডেলিভারি দেয়ার জন্য ক্রেতার দেয়া ঠিকানা বা ক্রেতা যে ঠিকানা থেকে তার অর্ডারকৃত পন্য বুঝে নিবে।

Shipping/delivery charge: পন্য বা সেবা ক্রেতার নিকট পৌছে দেবার জন্য বিক্রেতা বা উদ্যোক্তা নির্ধারিত চার্জ বা খরচ। ডেলিভারি চার্জ সময়, এলাকা, পণ্যের ওজন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।

Special instruction: ক্রেতা অর্ডার প্লেস করার সময় বিক্রেতার কাছে প্রেরিত বাড়তি নির্দেশিকা।

Store pickup: বিক্রেতার যদি শোরুম বা অফিস থাকে তিনি ক্রেতার জন্য স্টোর পিক আপ সিস্টেম রাখতে পারেন। ক্রেতার সুবিধাজনক সময়ে ডেলিভারি চার্জ ছাড়া স্টোর থেকে অর্ডারকৃত পণ্য সংগ্রহ করার উপায়।

Tax rate: করের হার। বিভিন্ন পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভিন্ন কর আরোপ করা থাকে।

Traction: যে কোন ব্যবসায় পারফর্মেন্স নিয়ামক উপাদান গুলোর কার্যকারিতা বা এঙ্গেজমেন্টের পরিমান। আপনার কাস্টমার কত জন, কি পরিমান পণ্য বিক্রয় করেছেন, দৈনিক ভিজিটর কত জন ইত্যাদি সবকিছুই ট্রাকশনের অন্তর্ভুক্ত, ভাল ট্রাকশন থাকা মানে ব্যবসা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

Transaction fee: ক্রেতা পণ্য কেনার সময় অনলাইন পেমেন্ট করলে তা পেমেন্ট প্রসেসর থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে কর্তনের পরে বিক্রেতার কাছে জমা হয়। যেমন বিকাশের ট্রান্সেকশন ফি ১.৫% বলতে বুঝায় পণ্যের জন্য ক্রেতা ১০০ টাকা পাঠালে বিক্রেতা পাবেন ৯৮ টাকা ৫০ পয়সা।

Transaction report: নির্দিষ্ট দিনে বা সময়সীমায় কি পরিমান পন্য ও সেবা ক্রয় বিক্রয় বাবদ কতগুলো এবং কি পরিমান লেনদেন হয়েছে সেই রিপোর্ট।

Visitor report: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংক্রান্ত ডাটা। নির্দিষ্ট সময়ে কতজন কোথা থেকে ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন সেই পরিসংখ্যান।

Watchlist/wishlist: ক্রেতা ওয়েবসাইটে কি পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন সেই তালিকা। ক্রেতার জন্য বিভিন্ন সাইটে পন্য বা সেবা ভবিষ্যতে পেতে চান এরকম আগ্রহ তালিকা করার সুযোগ থাকে।

Webmaster/web manager: যিনি এক বা একাধিক ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন, অর্থাৎ ওয়েবসাইট সেট আপ, কনফিগারেশন, প্রোডাক্ট এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং সার্বিক পরিচালনার দ্বায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিটি কিওয়ার্ডের বিস্তারিত জানতে চট করে গুগলে সার্চ করে নিন। এই ডিরেক্টরিতে যোগ হতে পারে এমন আরো কিওয়ার্ড থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। আশা করি এই ডিরেক্টরির কিওয়ার্ডগুলো সম্পর্কে ব্যাসিক জেনে নিলে অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।

ভাল মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট চাই?

(Visited 3,067 times, 1 visits today)
7

Comments